আমাদের সবার জন্যই পিসি ধীর গতি হয়ে যাওয়া কিংবা হ্যাং করাটা খুবই বিরক্তির কারণ। মাঝে মাঝেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় এসকল অসুবিধায় আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমার আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করবো কিভাবে কিছুটা সর্তকতা অবলম্বন করে আমরা এই সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে পারি।
কিভাবে করবো?
অনেক কারণেই পিসি ধীর গতি কিংবা হ্যাং হয়ে থাকে। এসকল ক্ষেত্রে অনেক পদ্ধতিতেই উত্তরণ সম্ভব। তবে কিছু বেসিক কাজ রয়েছে যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে। এই কাজগুলোর জন্য কোন অতিরিক্ত সফটওয়্যারের ব্যবহার দরকার নেই। চলুন দেখে নেই পদ্ধতিগুলো।
১. আপনার কম্পিউটারটি ধীর গতির হয়ে গেলে হার্ড ডিস্ক এর জায়গা খালি করে নিন। যখন হার্ডডিস্কের মেমোরি প্রায় পরিপুর্ন হয়ে যায় তখন কম্পিটার অনেক ধীর গতির পার্ফরমেন্স প্রদান করে। তাই যে সকল ফাইল আপনি সচরাচর ব্যবহার করেন না, সেগুলো ডিলিট করে দিন। এতে করে মেমরির জায়গা খালি হবে এবং আপনার কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এছাড়া আপনি কম্পিউটারের Disc Cleanup ইউটিলিটি ব্যবহার করে আপনার মেমোরির জায়গা খালি করে নিতে পারেন। এজন্য START এ ক্লিক করে All Programs > Accessories > System Tools > Disc Cleanup এ ক্লিক করুন।
একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। সেখানে আপনার ফাইল গুলোর একটি লিস্ট থাকবে যেখান থেকে আপনি প্রয়োজনীয় ফাইল গুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে নিচের OK বাটনে ক্লিক করে প্রোগ্রামটি এক্সিকিউট করবেন।
২. কম্পিউটার হ্যাং করলে খেয়াল করে নিন কোন প্রোগ্রামটি কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আপনাকে Task Manager ওপেন করতে হবে। Ctrl+Alt+Delete চেপে টাস্ক ম্যানাজার ওপেন করে নিন। এতে করে আপনি দেখতে পাবেন কোন কোন প্রোগ্রামগুলো এই মুহুর্তে চলছে। যে প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে চাইছেন বা যে প্রোগ্রামের কারনে হ্যাং হয়েছে তা বন্ধ করতে চাইলে প্রোগ্রামটি সিলেক্ট করে নিচের দিকে থাকা End Process এ চাপ দিন। প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. নিয়মিত আপনার কম্পিউটারটি Defrag করে নিন। যখন কিনা একই ধরণের ফাইল মেমোরির বিভিন্ন যায়গায় সেভ করা হয় তখন তা Fragmented হয়ে পরে। এতে করে কম্পিউটারটি ধীর গতির হয়ে যায়। কারণ, ফাইলটিকে খোঁজার জন্য বিভিন্ন ড্রাইভ কম্পিউটারকে চেক করে দেখতে হয়। কম্পিউটার Defrag করার জন্য START এ ক্লিক করে All Programs > Accessories > System Tools > Disc Defragment এ ক্লিক করুন । এবার আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রাইভগুলো কে Defrag করুন।
৪. কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিয়মিত পরিক্ষা করে দেখুন। কারণ ম্যলোয়ার ভাইরাসগুলো আপনার পিসিকে নিয়মিত ধীর গতির করতে থাকবে। এজন্য আপনি যে কোন ভালো মানের এ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। ভাইরাস চেক শেষে ব্যবহৃত এ্যান্টিভাইরাসের নির্দেশ মত ভাইরাস ফাইলগুলো ডিলিট করে দিন। যে ফাইলগুলো ডিলিত করা সম্ভব হচ্ছে না সে ক্ষেত্রে Quatrain ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলো ডিলিট করে নিন।
৫. নিয়মিত আপনার Disc Error রিপেয়ার করুন। Disc Error হচ্ছে কম্পিউটার ধীর গতির ও হ্যাং হবার প্রধার কারণগুলোর মাঝে অন্যতম। ডিফল্ট কিছু ইউটিলিটি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করে নিন। এ জন্য My Computer -এ ঢুকে যে ফোল্ডার আপনি চেক করতে চান তা সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে Properties অন করুন। এবার Tools ট্যাব এ ক্লিক করে Check Now বাটনে চাপ দিন।
এরপর Scan for and attempt recovery of bad sectors এ টিক দিয়ে Start করুন।
এখন ইউটিলিটি-টি তার নিয়ম মতন Scan ও রিপেয়ার শুরু করবে।
আপনার পিসি’র হ্যাং সমস্যা যদি খুব বেশি হয়ে থাকে তবে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোর ব্যাকাপ রাখুন অন্য ড্রাইভে যে ড্রাইভে কিনা আপনার অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল দেয়া নেই। এছাড়া আপনি control panel এ গিয়ে Windows backup and restore utility ব্যবহার করে আপনার ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখতে পারেন।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের কিছুটা হলেও সহায়তা করবে। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
দরকারী তথ্য জন্য ধন্যবাদ. বুকমার্ক আপনার ব্লগে যুক্ত করতে হবে
আমাার 2.20 ghz 2 gb ram dual core pc বাঘের মত দৌড়ায় ৷ উইনডোজ ৮ চালায় ৷