ইভ্যালি স্বঘোষিত দেশসেরা অনলাইন শপিং সাইট
- দাম
- ডেলিভারি টাইম
- কাস্টমার সাপোর্ট
- প্রচারনা
ইভ্যালি অনলাইন শপিং মল - রিভিউ
১৩০% ক্যাশব্যাক বলতে বিজনেস ওয়ার্ল্ডে কিছু নাই। এটার সোজা বাংলা দাঁড়ায়, পন্য আপনাকে দেয়ার পরে তার দাম ফেরত দেয়া হবে সাথে আরো ৩০% বেশি দেয়া হবে পন্যের দামের।
এই জিনিস অনেকেরই মাথায় ঢুকবে না। কিভাবে, কোন স্কিমে তারা গ্রাহককে ফ্রি পন্য দেবে তা আমারও বোধগম্য নয়।
উপদেশ চাইলে বলব, ইভ্যালির চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে মজবেন না। ইভ্যালি থেকে দূরে থাকুন। কেনার আগে তাদের শর্তগুলো ভালো করে পড়ুন। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু না হলেও ভোগান্তি।
ই-ভ্যালি নিয়ে বিস্তর লেখার আছে। কিন্তু তার বেশিরভাগই নেগেটিভ। তাই ছোট করে কিছু বলি।
ই-ভ্যালি স্ব-ঘোষিত দেশসেরার বিজ্ঞাপন নিয়ে মার্কেটে দাপিয়ে বেড়ালেও, ইংরেজীতে যাকে “বুলশিটিং” বলে আমার কাছে সেটাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ই-ভ্যালির নামে হাজার হাজার নেগেটিভ কমেন্ট আর টাকা আটকে থাকার বর্ননা থাকলেও মানুষ কেন যেন সাবধান হচ্ছে না!
বাঙ্গালীর জন্মগত দোষ হল “লোভ”। চটকদার মার্কেটিং আর ক্যাশব্যাকের লোভে পড়ে তারা নিজেদের টাকা আটকিয়ে ফেলে ই-ভ্যালির চক্করে।
সাইট ডিজাইন, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট পোর্টাল সব কিছু প্রফেশনাল লেভেলের। কিন্তু একটা অনলাইন বিজনেসের মূল যে কাস্টমার, তাদেরকেই নানা ভাবে ঘোরায় এই লিমিটেড কোম্পানি।
কেউই অফারে পন্য কেনার আগে ঠিক করে তাদের শর্তগুলো পড়ে দেখেন না। আর কিছু ঝামেলা হলে ফেইসবুকে না বলে ভোক্তা অধিকারেও বলেন না।
ভেবে দেখুনতো একজন বিক্রেতা কি আপনাকে ফ্রিতে তার পন্য দেবে? তাহলে ১৩০% ক্যাশব্যাকের মত অফারে আপনারা ঝাঁপিয়ে পড়েন কেন বলুনতো?
দারাজ নিয়েও অনেকের ক্লেইম দেখেছি। সেখানেও এরকম অনেক মার্চেন্ট থাকে। কিন্তু ই-ভ্যালির বিজনেস মডেলকে একটা প্রতারনা বলা ছাড়া আসলে কিছুই বলা যায় না। স্ক্যাম সাইট বলতে পারতাম কিন্তু কিছু কাস্টমারের প্রোডাক্ট তারা ডেলিভারি করে। আর বাদ বাকিদের টাকা নিয়ে বসে থেকে তা দিয়ে ডিম ফোটায়।
একটা প্রোডাক্ট অর্ডার করবার পরে সেটা কবে পাবেন তার নিশ্চয়তা স্বয়ং ই-ভ্যালির লোকজনও আপনাকে দিতে পারবে না। এরকম শপিং সাইট থেকে কেন কিছু অর্ডার করতে যাবেন?
দয়া করে অর্ডার করার আগে, তাদের পেইজের কমেন্ট সেকশন, গুগলের রিভিউ পেইজ একটু ঘুরে আসুন। আপনার সময় এবং টাকা দুটোই বেঁচে যাবে।