রাউটার নিয়ে ঝামেলায় পড়েননি এমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পাওয়াটা দুস্কর। বিশেষ করে আমাদের মত যারা আইটি প্রফেশনাল তারা হরহামেশাই এই সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে যারা একটু কম অভিজ্ঞ আছেন তাদেরকে ইন্টারনেটের স্পিডের ঝামেলায় বেশিরভাগ সময়েই রাউটারের দোষ দিতে দেখা যায়।
তো চলুন আজকে রাউটার নিয়ে একটু বিস্তারিতইয়েজেনে নেয়া যাক। কোন রাউটার আপনার জন্য ভালো হবে, দামে সস্তা কিন্তু কাজে ভালো এরকম রাউটার আদতেও আছে নাকি… ইত্যকার নানা বিষয় নিয়ে।
রাউটার কি?
বিস্তারিত ব্যখ্যায় না গেলেও ছোট করে বলে ফেলি, রাউটার হচ্ছে সেই ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র যা দুইটা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাঝে ডাটা প্যাকেটের আদান-প্রদান করে থাকে। সেই সাথে রাউটার আইপি এড্রেস যাচাই করে এবং সব থেকে সহজ এবং দ্রুত সময়ে কিভাবে ডাটা বা তথ্য আপনার কাছে পৌছে দেয়া যায় সে চেষ্টা করে।
আমাদের বাসা বাড়িতে রাউটার সাধারনত আইএসপি থেকে যে কেবল আসে সেটার সাথে ইনপুট এ যুক্ত থাকে আর বাসার বাকি সব ডিভাইস রাউটারে কানেক্টেড থাকে। এর ফলে একই ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি আমরা।
রাউটার হচ্ছে একটা হাবের (HUB) এর মত (সংযোগ কেন্দ্র)। এখানে সবাই নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে যুক্ত হয় এবং রাউটার এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়। যদি ইন্টারনেট নাও থাকে তাহলেও রাউটারের সাথে কানেক্টেড সব ডিভাইস একে অপরের সাথে ডাটা প্যাকেট আদান-প্রদান করতে পারবে।
রাউটারের আর মডেমের মধ্যে পার্থক্য কি?
অনেকেই রাউটার আর মডেমকে একসাথে গুলিয়ে ফেলেন। অথচ রাউটার এবং মডেমের কাজ ভিন্ন। মডেম মূলত ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে। আপনার বাসার সব ডিভাইস তার বা তারবিহীন ভাবে রাউটারে যুক্ত থাকে। এই রাউটার একটা মডেমে যুক্ত থাকতে পারে। আমরা যদিও আইএসপি থেকে লাইন নিয়ে রাউটারে লাগাই যা আসলে ADSL মডেমের মতই কাজ করে।
বাজারে এখন অবশ্য অনেক মডেম পাওয়া যায় যেগুলো রাউটিং এর কাজও করে থাকে। আপনার হাতের এন্ড্রয়েড ডিভাইস একই সাথে মডেম এবং রাউটারের কাজ করতে পারে। আপনি সিম দিয়ে প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করে ইন্টারনেটের সাথে তারবিহীন বাদে যুক্ত হচ্ছেন, আবার একই সাথে হটস্পটের মাধ্যমে প্যাকেট রাউটিং এর কাজও করছেন।
মডেম এবং রাউটার নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে নেটয়ার্কিং নিয়ে একটু পড়তে হবে। আমি একটু হালকা ধারনা দিয়ে রাখলাম।
রাউটারের কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখতে হবেঃ
বাজারে হরেক কোম্পানির হরেক রকম রাউটার আছে। কোনটা কিনবেন আর কোনটা কিনবেন না সেটা পুরোটাই নির্ভর করে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর।
যদি গেইম খেলাই মুখ্য হয়ে থাকে তবে আপনার দরকার ভালো মানের একটা রাউটার যেটাতে পিং লস হবে না বা স্পিড ড্রপ করবে না।
বাসায় সাধারন ব্যবহারের জন্য, যেমন মুভি, গান, ইউটিউব স্ট্রিমিং করার জন্য ১০০০ টাকা বাজেটেই অনেক রাউটার পেয়ে যাবেন। ব্রান্ড নন-ব্র্যান্ড সবই আছে।
য্দি আপনি আমাদের মত আইটি প্রফেশনাল হন, তবে ধরেই নিচ্ছি আপনি আপনার প্রয়োজনীয় এই ডিভাইসটি সম্পর্কে বেশ ভালো জানেন। নিজেই নেট ঘাটাঘাটি করে নানা রকমের ডিভাইস বের করে ফেলেছেন।
আমাকে বলুনতো আপনি কোন রাউটারটি ব্যবহার করছেন এখন?
রাউটার কেনার আগে নেট থেকে বা প্যাকেটের গায়ে দেখে নিন এর বৈশিষ্টগুলো। আর ইউটিউবে দু-একটা রিভিউও দেখে নিতে পারেন।
রাউটারের রেইঞ্জ
প্রায় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই যারা রাউটার কিনছেন তাদের মূল সমস্যা থাকে রেইঞ্জ নিয়ে। সবাই চান কমদামে ভালো মানের একটা রাউটার যেটা লম্বা দূরত্বেও ওয়াইফাই সিগনাল দেবে।
প্রতিটা রাউটারের যদিও একটা রেইঞ্জ লিমিট দেয়া থাকে, সেটা কিন্তু একটা খোলা জায়গার জন্য বা তাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি এনভায়রনেমেন্টের জন্য। আপনার বাসায় আদতেও এই রেঞ্জ কাজ করবে কিনা তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নেই।
রাউটারের স্পিড এবং রেঞ্জ অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমন,
১. আশেপাশে আর কতগুলো ওয়াইফাই রাউটার ডাটা ট্রান্সমিট করছে এবং এরা কোন চ্যানেলে/ফ্রিকোয়েন্সিতে ডাটা ট্রান্সফার করছে।
২. আপনার ঘরের দেয়াল, বাসায় মাইক্রোওয়েভ জেনারেট করে এরকম ইন্সট্রুমেন্ট এর উপস্থিতি।
৩. রাউটারের পজিশন ঘরের ঠিক কোথায় তার উপর
৪. আপনার আইেসপির মূল লাইনের স্পিডের উপর, ইত্যাদি।
খোলা জায়গায় সাধারণ একটা ২.৪ গিগাহার্জের ব্যান্ডের রাউটার সাধারণত ৩০০ মিটার পর্যন্ত ভালভাবে সাপোর্ট দিতে পারে। সেই একই রাউটার এর অর্ধেকেরও কম সাপোর্ট দেবে বিল্ডিং এর ভেতরে।
রাউটারের এন্টেনা কয়টা সেটার উপর রাউটারের রেঞ্জ নির্ভর করে না।
জ্বী, কথা সত্য। অনেকেই এই বিষয়টি বুঝতে চান না। এন্টেনা বেশি থাকার মানে হল সিগনাল কোয়ালিটি আরো ভালো দিতে পারবে এই রাউটার, আরো বেশি ডিভাইসের সাথে কানেক্ট হলেও ডাটা আদান-প্রদানে সমস্যা হবে না। কিন্তু, কোনভাবেই এটা আপনার রাউটারের রেঞ্জ বাড়াবে না।
আপনার রাউটারের রেঞ্জ বাড়ানোর জন্য কিছু সাধারন টিপস মেনে চলতে পারেনঃ –
০১. সবার আগে ভালো দেখে একটা রাউটার কিনুন।
০২. রাউটার যথা সম্ভব রুমের মাঝখানে রাখুন।
০৩. আপনার সিগন্যাল ফ্রিকোয়েন্সি বা চ্যানেল প্রয়োজনে ম্যানুয়ালি সিলেক্ট করুন।
০৪. রাউটারের ফার্মওয়ার আপগ্রেড করে সর্বশেষ সংস্করনে রাখুন।
০৫. প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করতে পারেন।
রিপিটার ব্যবহার করলে আপনার বাসার যে অংশে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক পায়না সেখানেও ইন্টারনেট পৌছে দিতে পারবেন। তবে সাধারন ওয়াইফাই রিপিটারের একটা ঝামেলা হল এরা সিগনালের কোয়ালিটি ড্রপ করে দেয়।
আবার SSID পরিবর্তন হয়ে যাবার ফলে এক রুম থেকে আরেক রুমে যাবার সময় সিগনাল ড্রপ করতে পারে কারন আপনার কানেকশন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যদি রিপিটার একটা ইউনিফাইড সিস্টেমের মাধ্যমে লাগানো থাকে তবে এই সমস্যায় পড়বেন না।
২.৪ গিগাহার্জের রেঞ্জ ৫ গিগাহার্জের নেটওয়ার্কের রেঞ্জ থেকে বেশি। তবে ৫ গিগাহার্জে ডাটা আদান-প্রদান এবং স্পিড বেশি।
ভালো কিছু রাউটারের নাম বলুন / রাউটার কোনটা কিনব?
আগেই বলে নিয়েছি সব রাউটার সবার জন্য ভালো নাও হতে পারে। একটা রাউটার ভালো না খারাপ তা নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর কাজের ধরনের উপর।
বাজারে হরেক রকম রাউটার আছে। দামী, কম দামী, ছোট-বড়, এক এন্টেনা থেকে আটটি পর্যন্ত, সেই সাথে আছে এদের নানা রকম আকৃতি।
কাজেই আপনার কাজের ধরন অন্যযায়ী রাউটার খুঁজে নিন।
দামের তুলনায় এক হাজার থেকে বিশ হাজার টাকার মধ্যে রাউটার খুঁজে পাবেন। মূল কথা হল কি কাজে আপনি ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন সেই কাজের উপর নির্ভর করে আপনার রাউটার ভালো বা মন্দ হবে।
বরঞ্চ এটা বলে দেয়া সহজ কোন কোম্পানির রাউটারগুলো ব্যবহার করে আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি।
TP-Link
প্রফেশনাল এবং নন-প্রফেশনাল সবার কাছে TP-Link এর রাউটার গুলোর কদর অনেক বেশি। নানা রেইঞ্ছের এবং আকৃতির রাউটার আছে TP-Link কোম্পানির।
যদি একটু বেশি ওয়াইফাই রেইঞ্জ চান, কিন্তু টাকা কম খরচ করতে চান তবে TP-Link TL-WR841N 300Mbps Wireless Router – এটি দেখতে পারেন। এটি ২.৪ গিগাহার্জ সাপোর্ট করে কিন্তু বেশ ভালো দূরত্বেও ওয়াইফাই সিগন্যাল পাওয়া যায়।

মাত্র দুটি এন্টেনা হওয়া স্বত্তেও এর কাভারেজ এবং স্পিড বেশ ভালো। রাউটারটির মডেল বেশ পুরনো হলেও গ্রাহক চাহিদায় এখনও এগিয়ে আছে এবং কোম্পানি মার্কেটে এটি আবার নতুন সফটওয়্যার দিয়ে ছেড়েছে।
কমদামে TP-Link Archer সিরিজের রাউটার গুলোও দেখতে পারেন। এগুলো তিন এন্টেনা বিশিষ্ট ডুয়েল ব্যান্ডের। ২.৪ এবং ৫ গিগাহার্জের ব্যান্ড একই সাথে ট্রান্সমিট করতে পারে। তবে এদের রেইঞ্জ অত ভালো নয়।
যে রুমে আপনি কাজ করবেন বা গেইম খেলবেন সেখানে রাউটার রাখলে পিং নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না।
TP-Link এর রাউটার যদি ব্যবহার করেন তবে Tether এপটি প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নেবেন। সব রাউটার মডেল সাপোর্ট না করলেও এটি চমতকার ভাবে বাসার রাউটার ম্যানেজমেন্টে আপনাকে সাহায্য করবে।
আমার ব্যক্তিগত পছন্দ Mesh Network যুক্ত রাউটারগুলো। আমি এখনো পর্যন্ত TP-Link এর DECO M4 রাউটার ব্যবহার করছি। আমার রাউটারটি ৩ টি ইউনিটের। Mesh Network যুক্ত রাউটার ব্যবহারের সুবিধা হলো আপনাকে আলাদা করে রিপিটার ব্যবহার করতে হবে না।

প্রতিটি ইউনিটই একটা আলাদা রাউটার হিসেবে কাজ করে। তাই আপনি যেকোন ইউনিটের সাথেই আপনার আইএসপির কেবল লাইন লাগাতে পারেন। এরপর বাকি ইউনিট এক বা দুটি এর সাথে কানেক্ট করে নেবেন। আপনার ঘরের বা ফ্লাটের যেখানে ব্লাইন্ড স্পট তৈরি হচ্ছে বলে মনে হয় এগুলো সেখানে রাখবেন। আমার তিনটা ইউনিট তিন জায়গায় রাখা।
এর ফলে আপনার সারা বাসায় আর কোন নেটওয়ার্ক ড্রপ হবে না। রিপিটারে যেমন ভিন্ন ভিন্ন নামে ওয়াই ফাই এক্সটেন্ড করে, তাই এক রুম থেকে আরেক রুমে গেলে একটা SSID ডিসকানেক্ট হয়ে আরেকটায় যুক্ত হয়, গেইম খেললে এটা সমস্যার। Mesh রাউটারে এরকম হয় না। সে একই SSID সব জায়গায় ব্রডকাস্ট করে। আর সবথেকে শক্তশালী বা কাছাকাছি যেটা থাকে সেটার সিগন্যালে স্বয়ংক্রিয় ভাবে যুক্ত হয়ে যায়।
কাজেই মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে ডাটা লস বা ডিসকানেকশনের সমস্যা অনেক কম।
Xiaomi Router
মোবাইল দিয়ে মার্কেটে খ্যাতি পেলেও রাউটার তৈরিতে শাওমি পিছিয়ে নেই। বাজারে এর মধ্যেই তার ৫ টি মডেলের রাউটার বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
Mi- Router গুলো দেখতে বেশ সুন্দর এবং হালকা পাতলা গড়নের। তুলনামূলক দাম কম বলেও অনেকের পছন্দের তালিকায় আস্তে আস্তে জায়গা করে নিচ্ছে।
কিন্ত এ পর্যন্ত আমি যে দুটো Mi – Router ব্যবহার করেছি তাদের রেঞ্জ খুব একটা ভালো পাইনি। তারওপর নেটওয়ার্ক ড্রপ একটা সাধারন বিষয়।
Mi- Router এর অপারেটিং সিস্টেম বেশ আলদা এবং কিছু জিনিস বেশ এলোমেলো। এর থেকে TP-Link বা Linksys এর রাউটার গুলোতে সব অপশন বেশ গোছানো আছে। Mi- Router এর সবগুলোতেই আমি ডুয়েল ব্যান্ডের ট্রান্সমিশন দেখেছি।
যারা সস্তায় দেখতে সুন্দর রাউটার কিনতে চাচ্ছেন Mi- Router তাদের জন্য। কিন্তু গেইমার বা স্ট্রিমারদের এই রাউটার কিনতে আমি উৎসাহ দেব না।
Tenda
Tenda – রাউটার নিয়ে সবারই একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে, প্রথমদিকে এরা দুই এন্টেনার যে রাউটার বের করেছিল Tenda N301 Wireless N300 ,সেটি ব্যভার করে আমার বেশ ভালো লেগেছিল। ২.৪ গিগাহার্জের হলেও এটিও বেশ ভালো দূরত্ব পর্যক সিগন্যাল দিতে পারত।
আর বাদবাকি Tenda রাউটারগুলো Mi Router এর মতই কানেকশন ড্রপ এর সমস্যা দেখেছি।
Asus Router
আসুসের রাউটারগুলো একটু ইউনিক টাইপের হয়ে থাকে। দেখতে কিছুটা অদ্ভুত কিন্তু কাজে চমৎকার। আপনার পকেটে যদি কিছু টাকা বেশি থাকে তবে আমি সাজেস্ট করব আসুসের রাউটারগুলো কিনতে।
মাত্র দু-একটি বাদে আসুসের সব রাউটারেরই দাম অনেক বেশি। তবে যারা ডেডিকেটেড ভাবে গেইমিং বা ইউটিউব স্ট্রিমিং করেন তাদের প্রথম পছন্দ Asus Rog Rapture টাইপের ট্রাই ব্যান্ড রাউটারগুলো।

এ সকল রাউটার বাদেও বাংলাদেশের বাজারে PROLINK, D-Link, Linksys, Huawei, Netgear এর রাউটারও পাওয়া যায়।
তবে, সব দিক বিবেচনায় মার্কেটিং এবং বিক্রিতে TP-Link সবার থেকে এগিয়ে, অন্তত বাংলাদেশে এর সহজলভ্যতা, আমদানী বেশি হওয়া, দামে সস্তা ইত্যাদি কারনে সবাই শেষ ভরসা হিসেবে TP-Link কেই ধরে নেয়।
কোন রাউটারই সব দিক থেকে সেরা হতে পারে না। কতটি ডিভাইস কানেক্ট থাকবে, বাসা বা অফিসের আর্কিটেকচার, অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স এর ফ্রিকোয়েন্সি ইত্যাদি নানা কারনে রাউটারের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন আপনার জন্য কোন মডেলটি ভালো হতে পারে! যদি নির্দিষ্টভাবে কোন রাউটার সম্পর্কে জানতে চান তবে কমেন্টে উল্লেখ করুন আমি চেষ্টা করব জবাব দেবার।