সকলকে আমন্ত্রণ আমার আজকের পোস্টে। আজকের পোস্টটি খুব সাধারণ কিছু টিউটোরিয়াল দিয়ে পরিপূর্ণ। আজ আমি আপনাদের জানাব কিভাবে কোন সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াই PC –র গতি বাড়িয়ে নেয়া যায়!
আমরা যারা উইন্ডোজ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করে থাকি তাদের মাঝে অধিকাংশই এখন উইন্ডোজ সেভেন (WINDOWS 7) ব্যবহার করছি। কেননা উইন্ডোজ সেভেন এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যা কিনা পূর্বের সকল উইন্ডোজ সিস্টেম থেকে অনেক স্মার্ট ও আরও বেশী ইউজার ফ্রেইন্ডলি। তবে মাঝে মাঝে অনেক প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহার, থিম ব্যবহার কিংবা ভালো মত মেন্টেইন না করার কারণে PC টি ধীর গতি হয়ে পড়ে, কিংবা সঠিক গতিটি আমরা পাই না। এই সমস্যাটি থেকে উত্তরণের জন্য আসুন আমরা আজ কিছু সহজ টিপস জেনে নেই। এর জন্য আপনাকে কষ্ট করে কোন সফটওয়্যার’ও ডাউনলোড করতে হবে না।
নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য স্টেপ গুলো ছবি সহ বর্ণনা করা হল:
১. অপ্রয়োজনীয় Startup Service গুলো Disable করে নিন।
এর জন্য প্রথমে “Start” বাটনে ক্লিক করে “RUN” অপশনে গিয়ে “msconfig” লিখুন। এন্টার (Enter) বাটন অথবা OK চাপুন।
এতে করে আপনার স্ক্রিনে “System Configuration” নামে একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে।
এবার উইন্ডোটি থেকে “Startup” ট্যাবে চাপ দিন।
এখানে আপনি যে সার্ভিস গুলো দেখতে পাচ্ছেন তার মাঝে অনেক প্রোগ্রাম ই আপনার PC স্টার্ট হবার সাথে সাথেই কার্যকর হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু আপনার অজান্তেই হয়তো চলতে থাকে। যার কারণে PC স্টার্ট হতে মাঝে মাঝে অনেক সময় লেগে যায়। তাই PC স্টার্ট হবার সময় কমানো ও অন্যান্য PERFORMANCE ভালো পাবার জন্য এবার আপনি অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস গুলো থেকে টিক চিহ্ন সরিয়ে দিন। যা কিনা SERVICE গুলো কে Disable করে দেবে। এরপর “Apply” > ”OK” দিয়ে বের হয়ে আসুন। কোন কোন আইটেম আন-চেক করবেন? এক্ষেত্রে আপনি “Offline Files”, “Tablet PC Input Services”, “Terminal Services”, “Fax and Windows Search”, সার্ভিসগুলো খুঁজে নিয়ে আন-চেক করুন। কেননা এগুলো উইন্ডোজ সেভেন এর পারফরমেন্সে অনেক প্রভাব ফেলে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম গুলো দেখে নিন ও আন-ইন্সটল করে নিন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। যেন ভুলে কোন প্রয়োজনীয় সার্ভিস আন-চেক বা আন-ইন্সটল না হয়ে যায়।
২. প্রয়োজনে READYBOOST এর ব্যবহার করুন।
উইন্ডোজ ভিস্তার মাধ্যমে মাইক্রোসফট READYBOOST এর প্রচলন ঘটিয়েছে, যা কিনা বর্তমান উইন্ডোজ সেভেনেও ব্যবহৃত হচ্ছে বেশ জোরেশোরেই। আমরা যখন কোন পেনড্রাইভ বা মেমোরি ডিভাইস PC তে প্রবেশ করাই তখন একটি উইন্ডোজ প্রদর্শিত হয়, যেখানে কিনা READYBOOST অপশনটি ব্যবহারের সুযোগ থাকে।
এই অপশনটির কাজ হল আপনার পেনড্রাইভটিকে মূলত একটি ভার্চুয়াল RAM হিসেবে ব্যবহার করা। এবং এখানে আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন আপনার পেনড্রাইভের কতখানি জায়গা উইন্ডোজ ব্যবহার করবে।
৩. Windows transparency অপশনটি Disable করুন।
যদিও transparency অপশনটি উইন্ডোজ সেভেনের নতুন একটি সংযোজনা যা কিনা এই অপারেটিং সিস্টেমকে দেখতে করেছে আরও আকর্ষণীয়, তবু এটি RAM এ গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গা দখল করে রাখে। তাই গতি বাড়াবার জন্য একটু না হয় Compromise করলেনই!
এর জন্য যা করতে হবে তা হল ডেক্সটপে থাকা অবস্থায় মাউসের ডান বাটনে চাপ দিয়ে “personalize” অপশনটি ক্লিক করুন।
এবার Windows Color অপশনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী উইন্ডোটি থেকে “enable transparency” অপশনটি আন-চেক করে “save changes” বাটনে ক্লিক বের হয়ে আসুন।
৪. উইন্ডোজ সেভেনের Unwanted Feature গুলো Disable করে নিন।
প্রথমে “START” বাটনে চাপ দিয়ে “control panel” ওপেন করুন।
এবার PROGRAMS এ ক্লিক করুন।
নতুন উইন্ডো থেকে “Programs and Features” এ ক্লিক করুন।
এখন স্ক্রিনে দেখানোর মতন করে বাম পাশ থেকে “Turn Windows features on or off” এ ক্লিক করুন।
এবার অপ্রয়োজনীয় ফিচার গুলো আন-চেক করে নিন।
এক্ষেত্রে “ Indexing Service ” টি অবশ্যই আন-চেক করে নিন। OK দিয়ে বেরিয়ে আসুন। এতে করে আপনি এবার গতির লক্ষণীয় পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
৫. নির্দিষ্ট দিন পরপর PC Defragment করুন।
আমরা নানান কাজে PC থেকে ফাইল ডিলিট, কপি, এবং এক ড্রাইভ থেকে অন্য ড্রাইভে ডাটা মুভ করে থাকি। এতে করে হার্ডডিস্ক অগোছালো হয়ে পরে। এভাবে অনেকদিন চলার ফলে হার্ডডিস্ক তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলে এবং কম্পিউটারও তার স্বাভাবিক পারফর্মেন্স দিতে ব্যর্থ হয়। তাই মাসে অন্তত একবার করে PC Defragment করে নেয়া ভালো। এতে করে খালি স্থান গুলো আলাদা হয়ে গিয়ে হার্ডডিস্কের ফাইল খোজার সময় কে বাঁচিয়ে দেয়, যার ফলে উইন্ডোজ ও তার স্বাভাবিক গতিতে কাজ করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে ‘start’ বাটনে চাপ দিয়ে সার্চ বক্সে “Disk Defragmenter” লিখুন।
এবার ড্রাইভ গুলো Defragment করে নিন। এবং অবশ্যই নিয়মিত সময়ে Defragment করুন।
আশা করি আপনারা এসব ট্রিকস্ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারলে PC –র পারফর্মেন্স এবং গতি যথাযথ ও সঠিক পরিমাণেই পেয়ে থাকবেন। এবং অযথা কোন সফটওয়্যারের দ্বারস্থও হতে হবে না! আর দুর্বল গতির জন্য মেজাজটাও বিগড়ে যাবে না!
সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
Good one. Love the way you did it. But if this is not an original one from you please mention the sources.
tnx vaiya…….@