ব্লগে আমরা সবাই মোটামুটি লেখালেখি করি। কেউ নিজের ব্লগে আর কেউবা হয়ত কোন কমিউনিটি ব্লগে। যারা নিজস্ব ব্লগে ব্লগিং করে থাকেন মানে প্রফেসিওনালি ব্লগিং করেন বা করার চেষ্টা করছেন আজকে তাদের জন্য কয়েকটি টিপস নিয়ে কথা বলব। একটা ব্লগ পোষ্ট পাবলিশ করার আগে আপনার যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে আমি তার একটা লিস্ট বানিয়েছি।
০১. আর্টিকেল রিভিসন দেয়া:
কন্টেন্ট পাবলিশ করার আগে অতি অবশ্যই আপনার পুরো লেখাটি বেশ কয়েকবার পড়ে নেবেন। এতে কোথাও কোন ভুল বা বাক্য গঠনে অসামঞ্জস্যতা থাকলে তা শুধরে নেয়া যাবে। আরো ভাল হয় যদি আপনি তৃতীয় কাউকে দিয়ে আপনার লেখাটি পড়াতে পারেন। বেশিরভাগ লেখকদের বই পাবলিশ হবার আগে তারা বেশ কয়েকবার প্রুফ রিডিং করে থাকেন।
০২. কন্টেন্ট সাজানোঃ
এই ব্যাপারটা একটা চ্যালেঞ্জের মত। অনেকেই জানেন না- লেখা খালি শুধ্ব হলেই তা পাঠকের মন কাড়তে সক্ষম হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার লেখার স্টাইল হতে হবে পারফেক্ট এবং বর্ননা হতে হবে সাবলীল। যতদুর পারেন লম্বা লম্বা বাক্য বলা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন ছোট ছোট বাক্যে প্যারাগ্রাফ গুলো শেষ করার জন্য। আপনি যখন কোন ইনফরমেশন দেবেন তখন কোনটার পর কোনটা আসবে তা ঠিক করে নিন। এলোমেলো ইনফরমেশন দেয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন হলে ইনফরমেশন গুলো লিস্ট আকারে দিন। লেখার যেখানে দরকার জোর দেবার জন্য BOLD করে দিন।
০৩. কি-ওয়ার্ডের ব্যবহারঃ
কি ওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় অনপেইজ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে। গুগল এনালিটিকস থেকে আপনার প্রয়োজনীয় কি-ওয়ার্ডগুলো আগেই বের করে নিন। চেষ্টা করুন যেন তাদের কমপিটিশন এবং সার্চ ভলিউম মাঝারি মানের হয়। যদিও কি-ওয়ার্ড রিসার্স একেকজন একেক রকম ভাবে করে থাকেন। পুরো বিষয়টি নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট এর বিষয় এবং কোন Region এর জন্য লেখা তার উপর।
মোটামুটিভাবে ৭০০ ওয়ার্ডের একটা আর্টিকেলে ২ টি কি-ওয়ার্ড আপনি মোট ৭-৮ বার ব্যবহার করবেন। তারপরও পুরো বিষয়টি নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিনের উপর যে সে আপনার এই আর্টিকেলের কোন বিষয়টিকে কি-ওয়ার্ড হিসেবে ধরে নেবে। আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই Long Tail Key Word ব্যবহার করে ভাল ফল পেয়েছি।
০৪. ইন্টার লিঙ্কিং:
এটা একটা গুড প্র্যাকটিস। আপনার ব্লগের সদ্য পাবলিশ হওয়া কন্টেন্ট থেকে যদি রিলিটেড পুরোনো কোন পোষ্টে লিঙ্ক করে দেন তবে তা পাঠকের জন্য যেমন উপকারী তেমনি সার্চ ইঞ্জিনের র্যাঙ্কিং ভালো করতেও সহায়তা করবে। আমরা অবশ্য অনেকেই “Related Post” নামের প্লাগিন ব্যাবহার করে থাকি ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষেত্রে। এটি নিজে নিজেই ডাটাবেইজ থেকে রিলেটেড কন্টেন্ট পোষ্টের উপরে বা নিচে দেখাতে পারে। তবে ভাল হয় যদি আপনি কন্টেন্ট থেকে হাইপারলিঙ্ক করে দেন।
০৫. ছবির ব্যবহারঃ
আলসেমি করে ছবি দিতে চাচ্ছেন না পোস্টে? তারমানে আপনি পাঠক হারাচ্ছেন। যেখানে দরকার প্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহার করুন। ছবির Title এবং Alt tag ঠিক মত দিন। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এটি অতিব জরুরি। এলোমেলো এবং যেকোন ছবি নয়, যথাযথ ব্যবহার আপনার পোষ্টটিকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে। প্রয়োজনে ছবির ইমেজ ক্রেডিট এবং সোর্স উল্লেখ করে দিন।
০৬. পোস্টের URL শর্ট করাঃ
সাধারনত আমরা ওয়ার্ডপ্রেসে যে টাইটেল দিয়ে থাকে পোস্টের জন্য- তাই আমাদের URL হয়ে যায়। তাই অনেক বড় টাইটেল হলে আমাদের পোস্টের লিঙ্ক ও অনেক বড় হয়ে যায়। আপনি এডিট স্ক্রীনে নিচের মত দেখবেনঃ- যেখানে টাইটেলের নিচে Permalink এর Edit এ ক্লিক করে আপনি পোস্টের URL শর্ট করতে পারবেন। এটিও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমিজেশনে ভুমিকা রাখে।
০৭. Call to Action:
অনেকেই হয়ত এই বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু সঠিক জানেন না ব্যপারটি কি। খুব সোজা- আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে পাঠকের কাছে একটি বার্তা পৌছে দিয়েছেন এখন তাদের কে বলুন কি করতে হবে বা তাদের কি করা উচিত। হতে পারে এটি আপনার প্রোডাক্টটি কেনার প্রতি উদ্বুধ্ব করা বা আপনার নিউজ লেটারে সাইন আপ করানো বা কমেন্ট করা। বিষয়টি যাই হোক না কেন- তা পরিষ্কার ভাবে এবং strongly উপস্থাপন করুন। আর CALL TO ACTION এর বাটনটি রাখুন পোস্টের একদম উপরে অথবা নিচে।
এই হলো মোটামুটিভাবে আপনার একটি ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করার নিয়ম। নিয়মগুলো প্রতিনিয়ত প্রাকটিসের মাধ্যমে আয়ত্তে নিয়ে আসলে আপনি আপনার ব্লগকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।
It’s very helpful. Thanks.